স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ১ নম্বর গন্তব্য দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ব্যবসা ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আর কী কী ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে- এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা, তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘পিটারের সঙ্গে চা-চক্র’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে- আপনি জানেন কি, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ১ নম্বর গন্তব্য দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র? ব্যবসা ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আর কী কী ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে? পিটারের সঙ্গে চা-এর আজকের পর্বে রাষ্ট্রদূত হাসের কাছ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর শুনুন এবং কিছু ধারণা নিন।
এর আগেও ‘পিটারের সঙ্গে চা’ শিরোনামে কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেগুলোতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। দ্বিতীয় সিজনের প্রথম পর্বে একটি ভিডিওতে রাষ্ট্রদূত হাস নিজের সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। এবার প্রকাশ পেয়েছে নতুন পর্ব-৪।
এ পর্বের শুরুতেই ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা। পিটারের সঙ্গে চা-চক্রে আবারও স্বাগত।’
তিনি বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগে ফেসবুকে আপনাদের মন্তব্য পড়তে এবং সরাসরি কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে। আজ আমাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন মাহু খান। তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অনাবিষ্কৃত কী কী ব্যবসায়িক খাত আছে যা আরও বিকশিত হতে পারে?’
এর উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি বলব, অনেক সম্ভাবনা আছে! আমার ধারণা আরও বিকশিত হতে পারে? আপনি জানেন যে, আপনাদের তৈরি-পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশ তাদের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে চায়। কীভাবে আমরা সেই খাতগুলো খুঁজে বের করব সেটাই বিবেচ্য। আমার মনে হয় বিগত দুই বা তিন বছর ধরে আমরা যেটা শিখেছি সেটা হলো আপনি একক কোন দেশের একক কোন সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতে পারবেন না।’
পিটার ডি হাস বলেন, ‘ আমি মনে করি, বাংলাদেশের জন্য দারুণ কাজ হবে যদি তারা এ ধরনের অন্যান্য খাতেও নজর দেয় যেখানে তারা প্রতিযোগিতা করতে পারবে। তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। আর এ ধরনের খাত হতে পারে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তি। এগুলো এমন সব সম্ভাবনাময় খাত যেখানে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আরও সরবরাহকারী খুঁজছি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ইতিমধ্যেই ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর তাই আমি দেখতে চাই যে, বাংলাদেশ এসব খাতে নজর দেবে, আরও বেশি রপ্তানি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ব্যবসা করবে।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী চা-চক্রে আবারও আপনাদের সাক্ষাতের প্রতীক্ষায় থাকব!’